বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রকে আধুনিক রূপে রূপান্তর করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চালু হয়েছে NID Wallet QR Code, যা নাগরিকদের জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং নিরাপদ উপায়ে পরিচয় যাচাইয়ের পথ উন্মোচন করেছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনে এনআইডি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে সহজেই, সেই সঙ্গে QR কোড স্ক্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় যাচাইয়ের সুযোগও তৈরি হয়েছে।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে তৈরি করা ‘NID Wallet’ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপটিতে প্রথমে নিবন্ধন করতে হয় এবং নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভেরিফিকেশন করতে হয়। একবার সঠিকভাবে যাচাই হয়ে গেলে ব্যবহারকারীরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল কপি এবং QR কোড অ্যাপটির মধ্যে দেখতে পান। এই QR কোডটিই মূলত ব্যক্তি পরিচয়ের আধুনিক স্বাক্ষর হিসেবে কাজ করে, যেটি সহজেই স্ক্যান করে নির্ভরযোগ্য পরিচয় যাচাই করা সম্ভব।
ব্যাংক, সিম রেজিস্ট্রেশন, সরকারি সেবা গ্রহণ কিংবা চাকরির ই-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় QR কোড স্ক্যান করে তথ্য যাচাই করার কাজ এখন অনেক সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। এটি যেমন সময় সাশ্রয় করছে, তেমনি জালিয়াতি ও প্রতারণার ঝুঁকিও কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এর মাধ্যমে অনলাইনে পরিচয় সংক্রান্ত কাজ করতে পারছেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী ও কার্যকর।
সবশেষে, প্রযুক্তির এই উদ্ভাবন বাংলাদেশে ডিজিটাল আইডেন্টিটির একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নাগরিক সেবাকে আরও সহজ, নিরাপদ ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যে NID Wallet QR Code ব্যবস্থাটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা যায়।